থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম

যুগ যুগ ধরে নানা আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে অথবা নানা রোগের জন্য থানকুনি পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে। মানুষ এখন নিত্যদিনই নানা অসুস্থতার জন্য অ্যালোপ্যাথি ওষুধের ওপর বেশি বিশ্বাসী হয়ে পড়েছে। যার দরুন এসব ওষুধের সাইড ইফেক্টও মানুষের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই আমাদের এখন উচিত বেশি বেশি প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর গুণাগুণ সম্পর্কে জানা।

যত তাড়াতাড়ি আমরা আমাদের নিজেদেরকে প্রাকৃতিক উপাদান নির্ভর করতে পারবো ততই আমাদের অর্থনীতি ও স্বয়ংসসম্পূর্ণ হবে। তাই আজকে আমাদের চেষ্টা থাকবে যেন আমরা থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কিভাবে থানকুনি পাতা খেলে আপনি সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে পারেন আর পাশাপাশি কাদের খাওয়া উচিৎ নয় সেসব বিষয়ে দৃষ্টিপাত করতে।

সারা শরীরের রক্ত প্রবাহে উন্নতি ঘটায় থানকুনি পাতা

নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলে ব্লাড ভ্যাসেল এর যে দেয়াল রয়েছে তার ক্ষমতা যেমন বাড়বে তেমনি সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বেড়ে যাবে। ফলে সারা শরীরের প্রতিটি অঙ্গে বিশুদ্ধ রক্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে রোগব্যাধির প্রকোপ করতে সময় লাগে না।

এমনকি শরীরের কর্ম ক্ষমতা ও বৃদ্ধি পায়। সেইসঙ্গে পা ফুলে যাওয়া এবং পায়ের যন্ত্রণা হওয়ার মতো সমস্যা দূরে থাকে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা

যাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে আসছেনা তারা যদি বেশি মাত্রায় ক্যালরি রয়েছে এমন খাবার এড়িয়ে চলার পাশাপাশি নিয়ম করে হাঁটাহাঁটি করেন এবং থানকুনি পাতার রস সেবন করেন তাদের ওজন দ্রুতই কমে যাবে। কারণ নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে হজম ক্ষমতা উন্নতি ঘটে ফলে শরীরের মেদ জমার সম্ভাবনা থাকে না। শরীরে এক্সট্রা ফ্যাট না জমলে ওজন ও নিয়ন্ত্রিত থাকে।

আরো পড়ুনঃ 15 দিনে ওজন কমানোর ডায়েট প্ল্যান, ওজন কমাতে দই ও তিসি বীজ এইভাবে খান

ক্ষতের চিকিৎসায় থানকুনি পাতা

কোথাও কেটে গেলে সেখানে যদি থানকুনি পাতা থেঁতো করে লাগানো হয় তাহলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

এই পাতায় রয়েছে সেপোনিন নামের একটি উপাদান যা ক্ষত স্থানে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেয় যে কারণে ক্ষত শুকিয়ে যেতে সময় লাগেনা। ক্ষতস্থানে কোন ধরনের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

দেহের রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা কমায় থানকুনি পাতা

থানকুনি পাতার রস শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। থানকুনি পাতায় উপস্থিত নানা মিনারেল এবং উপকারী উপাদান এর কারনে রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। যে কারণে থ্রম্বোসিস এর মতো রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়।

তাছাড়া রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটার একেবারেই উচিত নয় কারণ এমনটা ঘটলেই রক্তের প্রবাহের বিঘ্ন ঘটে ফলে হার্ট, কিডনি এবং মস্তিষ্কের যেমন মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তেমনি শরীরের অন্যান্য অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে।

তাই এই বিষয়ে সাবধান থাকা জরুরি আর সেই কারণেই তো থানকুনি পাতার রস নিয়ম মেনে খাওয়া ও জরুরি।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় থানকুনি পাতা

নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পেন্টাসাক্লিক ট্রিটারপেনস নামক একটি উপাদান এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে।

যে কারণে ব্রেণসেল কার্যকরী হয় এবং স্মৃতি শক্তি ও বাড়ে। এই কারণেই ছোট বাচ্চাদের থানকুনি পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। একই সাথে যদি বয়স্ক মানুষেরা নিয়মিত থানকুনি পাতার রস পান করেন তাহলে শেষ বয়সে alzheimer’s এবং ডিমেনশিয়ার মত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

আরো পড়ুনঃ মানব মস্তিষ্ক কত জিবি, সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

পাকস্থলীর আলসার দূর করতে পারে থানকুনি পাতা

থানকুনি পাতায় এমন একটি উপাদান রয়েছে যা পাকস্থলীর হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, সেইসঙ্গে আলসার এর মতো রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয় পেট খারাপ, ডায়রিয়া, আমাশয় এর মতো রোগ প্রতিরোধ করতে ও সাহায্য করে এই পাতার রস।

থানকুনি পাতা শরীরের ভেতরে প্রদাহের মাত্রা কমায়

শরীরের ভিতরে যদি ইনফ্লামেশন বা প্রদাহের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর সঙ্গে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে আরও নানা ধরনের সমস্যা যেমন, জয়েন্টের ব্যথা, বারে বারে জ্বর আসা, শরীরে ক্লান্তি অনুভব হওয়া, মাথা ব্যাথা, ক্ষুধামন্দা এবং পেশিতে যন্ত্রণা হওয়ার মতো লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়।

এরকম পরিস্থিতিতে যদি সময় মতো সঠিক চিকিৎসা শুরু করা না হয় তাহলে কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। তাই বিপদ আসার আগেই এটি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় আমাদের তা জানা প্রয়োজন।

এমন পরিস্থিতি ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নিয়ম করে প্রতিদিন থানকুনি পাতার রস খাওয়া উচিত। এই রসে প্রচুর পরিমাণে anti-inflammatory এবং ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা নিমেষে প্রদাহের মাত্রা কমায়। এবং জয়েন্টের ব্যাথার মতো নানা জটিল সমস্যার সমাধান করে থাকে।

জ্বরের প্রকোপ কমায় থানকুনি পাতার রস

অনেকেই নানা সময়ে জ্বরে সহজেই আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাদের নিয়ম করে থানকুনি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।এতে বলা হয়েছে জ্বরের সময় এক চা চামচ থানকুনি পাতার রস এবং এক চা চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে খুব দ্রুত সময়ে জ্বর সেরে যায়। সেই সাথে শারীরিক দুর্বলতা ও কেটে যায়।

এংজাইটি বা মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা

এ ধরনের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয় যে কারণে কর্টিসোল বা স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব কমতে শুরু করে। এর ফলে ঘন ঘন এংজাইটি এট্যাক হবার সম্ভাবনা এবং স্ট্রেস লেভেল কমে।

এর পাশাপাশি থানকুনি পাতার রস অনিদ্রার সমস্যা ও দূর করে, নার্ভাস সিস্টেম কে শান্ত রাখতে সক্ষম কারণ এতে anti-inflammatory এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে থানকুনি পাতা

যাদের পরিবারে দাদা নানাদের থেকে শুরু করে বংশ পরম্পরায় ব্লাড প্রেশার এর ইতিহাস রয়েছে তাদের নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়া উচিৎ। কারণ এতে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, সেই সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

তবে কেউ যদি ইতিমধ্যে প্রেসারে ভুগে থাকেন তারা থানকুনি পাতা খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

আরো পড়ুনঃ উচ্চ রক্তচাপ কি, রক্ত দানের উপকারিতা এবং সুবিধা

ত্বক এবং চুলের যত্নে থানকুনি পাতার রস

চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে থানকুনি পাতার রস অনেক কার্যকরী। এর জন্য প্রতিদিন বা একদিন পর পর থানকুনি পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে টানা ১ মাস খেলেই পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

আরো পড়ুনঃ দুধ দিয়ে ত্বকের যত্ন এবং চুলের যত্ন নেয়ার নিয়ম, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

আমাশয় বা ডায়রিয়ায় সমস্যায় থানকুনি পাতা

কারো যদি হঠাৎ করে আমাশয় বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা শুরু হয়ে যায় তারা প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে থানকুনি পাতার রস বা থানকুনি পাতার ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেলে অনেক উপকার পাবেন।

কিভাবে খাবেন:

সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে নিয়ম করে থানকুনি পাতার রস খেতে হবে টানা সাতদিন।প্রথমে পরিমানমতো থানকুনি পাতা বেটে নিন তারপর সেই রসের সঙ্গে অল্প করে চিনি বা মধু মিশিয়ে দিনে দুবার খাবেন। একটানা সাতদিন সেবন করলেই আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।

থানকুনি পাতা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে

যারা অসময়ে খাবার গ্রহণ করছেন অথবা ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিচ্ছেন তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পড়াটা অনেক সাধারণ একটা বিষয় এ পরিনত হয়েছে আজকাল। অথচ এই বিষয়টি মোটেও সাধারণ নয়।

এই প্রবলেম এর জন্য শরীরে নানা অস্বস্তি ভাব এবং রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে, যা আমরা টেরই পাইনা। এ জন্য একটি ঘরোয়া চিকিৎসা দারুণ কাজে লাগে। এই চিকিৎসার মূল উপাদান হলো থানকুনি পাতা।

আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়, লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম

কিভাবে খাবেন:

এক গ্লাস দুধ নিন। তাতে আড়াইশো গ্রাম মিস্ত্রী এবং অল্প পরিমাণে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুন। তারপর সেই মিশ্রণ থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে প্রতিদিন সকালে খাওয়া শুরু করুন এমনটা এক সপ্তাহ করলেই দেখবেন উপকার মিলবে।

এই মিশ্রণটি আপনি দুই থেকে তিন দিন ফ্রিজে স্টোর করে খেতে পারবেন। কিন্তু ফ্রেশ বানিয়ে খেলে এর উপকারিতা আরো বেশি পাওয়া যাবে।

শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় থানকুনি পাতা

আমাদের শরীরের ভিতরে জমে থাকা টক্সিন শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতিসরণ পড়ে থাকে যা বের করে দেওয়া অনেক জরুরী। থানকুনি পাতা নিয়মিত সেবনে এই টক্সিন শরীর থেকে বের হয়ে যাবে।

খাওয়ার নিয়মঃ

প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠে থানকুনি পাতার রস পান করুন মধুর সাথে মিশিয়ে। একটি কাপে দুই চা চামচ থানকুনি পাতার রস নিন।এতে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। চামচ দিয়ে মিক্স করুন। এবং পান করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। চাইলে হাটাহাটি করে নিতে পারেন।

ততক্ষণে এই পানীয় আপনার রক্তে মিশে যাবে এবং রক্তে মিশে থাকা টক্সিক উপাদানগুলিকে প্রস্রাবের সঙ্গে বের করে দিবে। ফলে শরীরের বড় ধরনের কোন ধরনের ক্ষতি হবার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।

থানকুনি পাতার অপকারিতা, কারা খাবেন, কারা খাবেন না

থানকুনি পাতা সংগ্রহ করে এক চামচ থানকুনি পাতার রস বা অল্প করে কাঁচা থানকুনি পাতা খেলে কোন ক্ষতি হয় না কিন্তু বেশি পরিমাণে খেলে তা একাধিক সমস্যার কারণ হতে পারে।

থানকুনি পাতা দীর্ঘদিন ধরে খেলে লিভার ড্যামেজের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে আর যাদের হেপাটাইটিস বা লিভারের কোন সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে রোগটি আরো বেশি জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

মারাত্মক মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথা, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এমনকি চুলকানি এবং এলার্জিক রিএকশন হওয়ার আশঙ্কা ও থাকে অতিরিক্ত থানকুনি পাতা সেবনে।

গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে থানকুনি পাতা ত্বকে প্রয়োগ করা গেলেও খাওয়ার বিষয়ে গবেষকরা সতর্ক করেছেন। এই বিষয়ে খুব ক্ষতিকর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার সন্ধান না পাওয়া গেলেও এ অবস্থায় থানকুনি কে নিরাপদ বলেন না কোনো গবেষকই।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে থানকুনি প্রাণীদেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে সুতরাং নিয়মিত বেশিদিন ধরে এবং বেশি পরিমাণে থানকুনি না খাওয়াই ভালো।

হঠাৎ করে রক্তচাপ বেশি কমে যেতে পারে।

কারো যদি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কোনো অপারেশন হবার কথা থাকে তাহলে ২ সপ্তাহ আগে থেকেই থানকুনি পাতা এড়িয়ে চলতে হবে।

থানকুনি পাতার ব্যবহারে সর্তক থাকা উচিত। কিছুদিন থানকুনি পাতার ব্যবহার করে যদি বমি বা বমি ভাব, পেটের উপরের দিকে যন্ত্রণা, ক্লান্তিবোধ, হজমের সমস্যা, জন্ডিস এসব সমস্যার দুই বা ততোধিক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে জরুরী ভিত্তিতে থানকুনি পাতার রস খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। অবস্থা বেশি খারাপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কিছু অপকারিতা থাকা স্বত্তেও এটা অস্বীকার করা যায় না যে, থানকুনি পাতা অত্যন্ত উপকারী একটি ভেষজ। আপনাদের শুধুমাত্র এর নিয়ম গুলো মেনে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। আপনারা কেউ দীর্ঘদিন এই ভেষজটি গ্রহণ না করে কিছুদিন অবসর দিয়ে দিয়ে গ্রহণ করলে সাইড ইফেক্ট বা খারাপ কোনো প্রতিক্রিয়াই আপনার হবেনা। উল্টো বাজার থেকে ঔষধ কিনে খাওয়ার প্রয়োজনীয়তাও কমবে।

আরো পড়ুনঃ

5/5 - (8 Reviews)
Subna Islam
Subna Islam
Articles: 78

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *