আমাদের স্কিন কেয়ার এর স্টেপগুলোর মধ্যে একটি স্টেপ কে আমরা অনেকেই বাদ দিয়ে থাকি।আমরা ভাবি এই স্টেপ টি না মানলেও কোনো অসুবিধা হবেনা স্কিন এ। আর ব্যবহার করলে কি কি উপকার আছে সেসব বিষয় এ আমরা অজ্ঞাত। এই পোস্টে আমরা টোনার ব্যবহারের নিয়ম এবং উপকারিতা সম্পর্কে কথা বলবো কারণ আমরা অনেকেই জানিনা স্কিন কেয়ারের স্টেপ গুলোতে ফেইস ক্লিনিং এর পরেই যে স্টেপ টি আসে সেটি হলো টোনার।
টোনার কি?
টোনার একটি ওয়াটার বেজ স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট। ফেস পরিষ্কার করে ধুয়ে নেয়ার পরেই আসে টোনারের কাজ। টোনার ত্বকের একদম ভিতর থেকে কাজ করে থাকে। তাই টোনার কিনার সময় বা বাসায় তৈরি টোনার ব্যবহার এর ক্ষেত্রে ও এর উপাদান সমূহ, আপনার ত্বকের ধরন এবং এর কোনো সাইড ইফেক্ট আছে কিনা তা জেনে নিবেন।
টোনারের কাজ
টোনার ত্বককে এক্সফলিয়েট করতে, ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে, ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে, এবং ত্বককে পরবর্তী স্কিন কেয়ার স্টেপ গুলোর জন্য তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া মেকাপ এর পর ও ত্বককে আরো ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে টোনার ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুনঃ মেকাপের জিনিসের নাম এবং ব্যবহারের নিয়মঃ নতুনদের জন্য 2022
টোনারের প্রকারভেদ
বাজারে অনেক ধরনের টোনার পাওয়া যায়। একেক টি টোনার একেক ধরনের ত্বকের জন্য কার্যকরী। এবং একেক টি টোনার একেক ধরনের ত্বকের সমস্যা সমাধানে কাজ করে থাকে।
এক্সফলিয়েটিং টোনার ত্বকের ভেতর থেকে ডেড সেল বা মৃত কোষ পরিষ্কার করে ত্বকের অমসৃণ টেক্সচার কে মসৃণ করে তোলে। তাই যাদের ত্বকে ডেড সেল এর পরিমাণ অনেক বেশি, যা সহজে দূর করতে পারছেন না তাদের জন্য রয়েছে এই ধরনের টোনার। এসব টোনারে ব্যবহার করা উপাদান সমূহের মধ্যে রয়েছে PHAs, BHAs, AHAs. এসব উপাদান ব্যবহার এর সময় পাশাপাশি অন্য যে প্রোডাক্ট ব্যবহার করছেন এর উপাদানসমূহের বিবরণ আগেই জেনে নিতে হবে, যাতে কোনো ক্যামিক্যাল রিয়েকশন না হয়।
মেকআপ ক্লিনজিং এরপরও মেকাপের অনেক পার্টিকেলস ত্বকে থেকে যায়। সেসব সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্লিনজিং টোনার।
আবার স্ক্রিনের আদ্রতা বজায় রাখতে এবং স্ক্রিনকে নেক্সট স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট গুলোর জন্য প্রিপেয়ার করতে ব্যবহার করা হয় হাইড্রেটিং টোনার।
টোনার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
বাহির থেকে আসার পর বা ঘরোয়া পরিস্থিতিতেও দিনে দুবার আমাদের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হয়। মুখ ধোয়ার পর ত্বকের কোষ অনেক নরম হয়ে থাকে। তাই তখন ই ত্বকের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদানটি ত্বকে ব্যবহার করা উচিত।
ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধোয়ার পর মুখ টা ট্যাপ ড্রাই করে টোনার এর কয়েক ফোটা হাতে নিয়ে বা টোনার প্যাডে নিয়ে আপনার ত্বকে লাগান। ত্বকের প্রতিটি অংশে লাগানোর পর তা শুকানোর জন্য ছেড়ে দিন। টোনার ব্যবহার এর পর নেক্সট স্কিন কেয়ার স্টেপ এ যাওয়ার আগে অবশ্যই ৩০-৪০ সেকেন্ড এর একটি সময়সীমা অতিক্রম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। ততক্ষণে ত্বক সম্পূর্ণ রুপে টোনার টি এবজর্ব করে নিবে।
টোনার ব্যবহার এর উপকারিতা
টোনার ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্কিন কেয়ার স্টেপ।
টোনার আমাদের ত্বকের pH পুনরায় ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে।
ডেইলি বেসিসে মেকআপ এর পরও আমাদের ত্বকের একটা ডীপ ক্লিঞ্জিং অনেক প্রয়োজনীয়।মেকাপ উঠানোর পর ফেইসওয়াস দিয়ে মুখ ধোয়ার পরও দেখা যায় মেকাপের অনেক অবশিষ্ট অংশ আমাদের নাকের আশেপাশে বা ত্বকের পশমের সাথে লেগে থাকে। সেসব ভালোভাবে রিমুভ করার জন্য ফেসওয়াশের পর টোনার ব্যবহার করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টোনার ব্যবহার করতে যে প্যাড ব্যবহার করা হয় এতে ময়লা বা অবশিষ্ট মেকআপ খুব সুন্দরভাবেই উঠে আসে।
এছাড়াও টোনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজিং করতে, হাইড্রেটিং করতে, ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এবং ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে কাজ করে।
অনেকে একই সময়ে এক বা একাধিক টোনার ব্যবহার করে থাকেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই শুধু টোনার ব্যবহারের পূর্বে আপনার ত্বকের ধরন এবং কোন ধরনের টোনার একই সাথে ব্যবহার করছেন সেটা জেনে নেয়া প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ