ডায়াবেটিস শব্দটি আমাদের সবার কাছেই বেশ পরিচিত। এমন কোনো পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে কোনো ডায়াবেটিসের রোগী নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ডায়াবেটিস এখন একটি মহামারি রোগ। এই রোগের অত্যধিক বিস্তারের কারণেই সম্প্রতি এমন ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রশ্ন আসতেই পারে, ডায়াবেটিস কী? আসুন তাহলে ডায়াবেটিস কি এবং এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেইঃ
ডায়াবেটিস কি?
ডায়াবেটিস এক ধরনের বিপাকীয় ( Metabolic) রোগ। ডায়াবেটিস কে বাংলায় বলা হয় বহুমুত্র রোগ। আমরা যে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাই সেটা হতে পারে ভাত, রুটি,আলু ইত্যাদি খাবারের কার্বোহাইড্রেট ভেঙে যে এন প্রোডাক্ট বা শেষ অংশ তৈরি হয় সেটার নাম হলো গ্লুকোজ। রক্তে গ্লুকোজের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। যদি না খেয়ে মাপা যায় তাহলে এই গ্লুকোজের লেভেল থাকবে ৫.৬ মিলি মোল পার লিটার। আর যদি খাওয়ার পরে মাপা হয় তাহলে এই গ্লুকোজের লেভেল থাকে ৭.১ মিলি মোল পার লিটার। যদি কাওকে গ্লুকোজ খাওয়ানোর ২ ঘন্টা পরে পরীক্ষা করা হয় তাহলে এর নরমাল লেভেল থাকবে ১১.১ মিলি মোল পার লিটার।
গ্লুকোজ যদি এই নরমাল লেভেলের চেয়ে বেশি থাকে সেটাকেই বলা হয় ডায়াবেটিস। আমাদের শরীরে পেনক্রিয়াস নামের একটি অর্গান আছে সেখানে বিটা সেল নামে কিছু সেল আছে এই খান থেকে সিকুয়েশন হয় ইনসুলিন। এই ইনসুলিন ই রক্তের গ্লুকোজ লেভেলকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখে। যদি কোনো কারণে ইনসুলিন সিকুয়েসন কম হয় তাহলে রক্তে গ্লুকোজের লেভেল ও বেড়ে যায়। গ্লুকোজ লেভেল বেড়ে গেলে রোগীর ঘন ঘন প্রস্রাব, গলা শুকিয়ে যাওয়া, ওজন হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি আনুসঙ্গিক যে সকল সমস্যা দেখা যায় সেটাই আসলে ডায়াবেটিস।
ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ
ডায়াবেটিস কেনো হয় জানতে হলে আগে জানতে হবে ডায়াবেটিস কয় ধরনের।
ডায়াবেটিস কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন- টাইপ ১ ডায়াবেটিস ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস ( Type 1 diabetes)ঃ টাইপ ১ ডায়াবেটিস যা অনেক সময় বাচ্চাদের ডায়াবেটিস বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াবেটিস ( Juvenile diabetes) নামেও পরিচিত।
এখন পর্যন্ত টাইপ ১ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ জানা যায়নি। তবে এটি বিশ্বাস করা হয়ে যে বংশগত এবং পরিবেশগত কারণের সমন্বয়ে এই রোগ হতে পারে।পরিবারে কারও এই রোগ থাকলে তা অন্যদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।এক্ষেত্রে এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার কার্যপ্রণালীটি এমন যে, শরীর স্বতঃঅনাক্রম্যভাবে অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদকারী বেটা কোষগুলোকে ধ্বংস করা শুরু করে যা শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন ব্যহত করে।রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা বা গ্লাইক্যাটেড হিমোগ্লোবিন (এইচবি১সি বা HbA1C) পরীক্ষার মাধ্যমে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়। শরীরে অটোঅ্যান্টিবডির উপস্থিতি পরীক্ষার মাধ্যমে বহুমূত্ররোগের সবচেয়ে প্রচলিত ধরন টাইপ ২ ডায়াবেটিস থেকে টাইপ ১ ডায়াবেটিসকে পার্থক্য করা সম্ভব।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস Diabetes mellitus type 2)ঃ এটি একটি বিপাকীয় রোগ যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস নামেও পরিচিত। রক্তে শর্করার আধিক্য, ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ও শরীরে ইনসুলিনের আপেক্ষিক ঘাটতি প্রভৃতি এই রোগের বৈশিষ্ট্য।
রক্তে অতিরিক্ত শর্করার উপস্থিতি অনেক দীর্ঘস্থায়ী জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে যেমন, হৃৎপিণ্ডের রোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (যা অন্ধত্ব ঘটাতে পারে), কিডনি বিকলতা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত প্রবাহের স্বল্পতা যা অঙ্গহানির কারণ হতে পারে। সহসা রক্তের শর্করা বৃদ্ধি পেয়ে হাইপার অসমোলার হাইপারগ্লাইসেমিক স্টেট নামক অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। তবে ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস হওয়ার সম্ভাবনা কম।
প্রাথমিকভাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হল অতিস্থূলতা ও শারিরীক পরিশ্রমের অভাব। কিছু কিছু ব্যক্তি বংশীয়ভাবে এই রোগের ঝুঁকিতে থাকে। মোট ডায়াবেটিস রোগীর প্রায় নব্বই শতাংশই টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। বাকি দশ শতাংশ প্রাথমিকভাবে টাইপ-১ ডায়াবেটিস ও জেস্টেশনাল বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শরীরের মোট ইনসুলিনের পরিমাণ কমে যায় ফলে শর্করার সাম্যাবস্থা নষ্ট হয়।রক্তের শর্করার মাত্রা নির্ণায়ক বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগ নির্ণয় করা হয়।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস আংশিক প্রতিরোধ যোগ্য। ওজন স্বভাবিক রাখা, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর প্রাথমিক চিকিৎসা হল ব্যায়াম ও ডায়াবেটিক পথ্য। এভাবে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হলে ওষুধের কথা চিন্তা করা হয়। কতক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ইনসুলিনের প্রয়োজন হয়। যারা ইনসুলিন নিচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে নিয়মিত রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষার প্রয়োজন হয় তবে যারা ওষুধ সেবন করে তাদের ক্ষেত্রে এটার প্রয়োজন নাও হতে পারে। স্থূলকায় ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
ডায়াবেটিস এর লক্ষণ
ডায়াবেটিস কে বলা হয় ‘নীরব ঘাতক’। নীরব ঘাতক বলার কারণ হলো বাইরে থেকে অনেক সময় বোঝাই যায় না যে রোগীর শরীরে ডায়াবেটিস আছে।রোগীরা প্রায়ই ডাক্তারের কাছে গিয়ে থাকে কোনো ধরনের লক্ষণ ছাড়াই। ভেতর থেকে এটি আস্তে আস্তে রক্তনালি গুলো কে ব্লক করে ফেলে যেমন ভাবে শিশা পানির পাইপ বন্ধ করে ফেলে।ফলস্রুতিতে পরবর্তীতে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি সমস্যা, চোখের সমস্যা এগুলো দেখা দেয়।কাজেই প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়া জরুরি। কিভাবে বুঝবেন আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে অর্থাৎ ডায়াবেটিসের লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি । নয়তো পরবর্তীতে অনেক বড় রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
তাহলে আসুন ডায়াবেটিসের লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে জেনে নেই~
ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া ও পিপাসা লাগা।
দুর্বল লাগা’ ঘোর ঘোর ভাব আসা।
ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া।
সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না হলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো হওয়া।
মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া।
কোন কারণ ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া।
শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া হলেও দীর্ঘদিনেও সেটা না সারা।
চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব।
বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা।
চোখে কম দেখতে শুরু করা।
কি খেলে ডায়াবেটিস ভালো হয়?
ডায়াবেটিস একবার হয়ে গেলে তা হয়ে যায় সারা জীবনের সঙ্গী। শিশু থেকে বৃদ্ধ, যে–কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগ সারানোর ওষুধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে কিছু নিয়মকানুন মেনে চললেই একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এ জন্য খাবারদাবারে রাশ টানা অন্যতম উপায়।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) খাবারের বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে মিষ্টি, লবণ ও চর্বিজাতীয় খাবার কম করে খাওয়ার অভ্যাস গড়তে হবে। বেছে নিতে হবে চিনিমুক্ত খাবার। এনএইচএসের পরামর্শগুলো হলোঃ
১.খেতে হবে তাজা সবজি ও ফল। তাই বলে ফলের জুস খেতে যাবেন না যেন! তার চেয়ে বরং ফল চিবিয়ে খান। চিবিয়ে খেলে ফলে থাকা কার্বোহাইড্রেট রক্তের সঙ্গে মেশে সহজে। এ ছাড়া চিবিয়ে খেলে দাঁত ও মুখের পেশিও কাজ করার সুযোগ পায়। এমন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফলের যে রস শরীর পায়, সেটি সহজে পরিপাক হয়।
২.কম চর্বিযুক্ত দই খাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে টকদই। শিশুদের জন্য দই খুবই উপকারী। এই দুগ্ধজাত বস্তুতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। হাড় ও দাঁতের জন্য ক্যালসিয়াম খুবই উপকারী।
৩.বেশি ভাজাপোড়া বা বেশি চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। লবণ বুঝে খেতে হবে। যত কম খাওয়া যায়, ততই মঙ্গল।
৪.চিনিযুক্ত পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে। জুস ও স্মুদিতে প্রচুর চিনি ও ক্যালরি থাকে। তাই কতটুকু খাচ্ছেন, তার হিসাব রাখতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত হলেই বিপদ।
৫.একটি বা দুটি সেদ্ধ ডিম খাওয়া যেতেই পারে। একটি বড় ডিমে থাকে প্রায় ৬ গ্রাম আমিষ। ডায়েটে ভিটামিন ডি যোগ করার জন্য ডিম বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
৬.খাবার খেতে হবে ক্যালরি মেপে। কতটুকু খাবারে কতটুকু ক্যালরি ঢুকছে শরীরে, তা মাথায় রাখতে হবে। বুঝেশুনে খেলেই আর বিপদের সম্ভাবনা নেই।
ডায়াবেটিস রোগীর খাবাার তালিকা
আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই কিন্তু গড়ে প্রায় ১৪% লোক ডায়াবেটিস এ ভূগছে। এই বিষয়ে ডাক্তাররা অনেক চিন্তা ভাবনা করে এই রোগীদের পথ্য পরিকল্পনা করেছেন। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের একটা ধারণাই থাকে যে ডায়াবেটিস মানেই কোনো ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না।তাদের জন্যই সুখবর। এখন ডায়াবেটিস রোগীর পথ্য পরিকল্পনায় ডাক্তাররা একটু ভিন্নতা নিয়ে এসেছে। কারণ ডায়াবেটিস শুধু মাত্র খাদ্য রিলেটেড না, ডায়াবেটিস হয় হরমোনের ইমব্যালেন্স এর জন্যই ডায়াবেটিস হয়।তাই সবসময় মাথায় রাখতে হবে হরমোন টা কিভাবে ব্যালেন্স করা যায়। সেটা খাদ্য দিয়েও করা যাবে , দুশ্চিন্তা মুক্ত থেকেও করা যাবে। অর্থাৎ যত বেশি চিন্তা মুক্ত থাকা যাবে ডায়াবেটিস থেকেও তত দূরে থাকা যাবে।
ডায়াবেটিস হয়ে গেলে সবসময় কন্ট্রোল করেই চলতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম হলো পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং নিন্তা মুক্ত থাকা।এই তিনটা কে কম্বাইন্ড করে চললে ডায়াবেটিস হলেও সুন্দর ভাবে জীবন পরিচালনা করা যায়। অনেকেই ডায়াবেটিস হলে অনেক বেশি বিষণ্নতায় ভোগে। ডায়াবেটিস রোগ টা কে অনেক গুরুত্ব দিয়ে ফেলে।ব্যাপার টা এমন কিছুই না, আপনি যদি প্রতিনিয়ত একে ককন্ট্রোল করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি খুব সুন্দর ভাবে ৬০-৭০ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবন- যাপন করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, তখনই বিপত্তি যদি সঠিক ভাবে ডায়াবেটিস কে গুরুত্ব না দেয়া হয়। সঠিক ডায়েট না করলে ঘুনে পোকা যেমন কাঠ খেয়ে ফেলে আস্তে আস্তে ঠিক তেমনই এই ডায়াবেটিস ও ধীরে ধীরে শরীরের অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ নষ্ট করে ফেলে। তাই ডায়াবেটিস রোগীর সঠিক খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
সকালঃ সকাল সাতটা থেকে আটার মধ্যে সকালের নাস্তা শেষ করতে হবে। সকালের নাস্তাটা দেরিতে হলেও যেন ৯.০০টার পর না যায় তা খেয়াল রাখতে হবে।
নাস্তায় আপনি রুটি/চিড়া/খই/ মুড়ি/ওটস্/ যেটা আপনার পছন্দ সেটাই নিতে পারেন। সাথে নিরামিষ আার একটা ডিম।
মধ্য সকালঃ ১০.০০.থেকে ১১.০০ টার মধ্যে আপনি নিতে পারেন আপনার পছন্দমতো কোনো একটা ফল। মিষ্টি ফল হলে ১/২ কাপ পরিমাণে খাবেন।
দুপুরের খাবারঃ দুপুর বেলায় আপনি আপনার খাবারে পরিমানমত ভাত, মাছ/মুরগীর মাংস, শাকসবজি, সালাদ ও লেবু ইত্যাদি রাখবেন। দুপুরের খাবার হবে ১.০০ থেকে ২.০০ টার মধ্যে।
বিকালের নাস্তাঃ বিকালের নাস্তায় আপনি রাখতে পারেন সুপ, ছোলা, চিনি ছাড়া বিস্কুট, মিষ্টি ছাড়া পিঠা, বাদাম, মুড়ি, রং চা ইত্যাদি।
রাতের খাবারঃ রাতে আপনি আপনার পছন্দমতো এবং পরিমানমতো রুটি বা ভাত বা ওটস নিতে পারেন। সাথে দুপুরের মতো মাছ/মুরগী, সবজি, সালাদ, লেবু ইত্যাদি রাখতে হবে। তবে রাতের খাবারটা আপনাকে রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে।
শোবার আাগেঃ রাতে শোবার এক ঘণ্টা আগে এক কাপ দুধ আপনি খেয়ে নিবেন। দুধে সমস্যা থাকলে দই, ছানা পনিরও আপনি নিতে পারেন পরিমাণমতো।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবেঃ
- মিষ্টি জাতিয় খাবার।
- ডুবোতেলে ভাজা খাবার।
- অতিরিক্ত তেলে রান্না করা খাবার।
- চর্বি জাতিয় খাবার; যেমন- ডালডা, ঘি ইত্যাদি।
- গরু, খাসী, হাঁস ও পাখির মাংস এড়িয়ে চলতে হবে।
ব্যায়াম বা শরীরচর্চাঃ সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন শরীরচর্চা করতে হবে। যেমন- হাঁটা, সাঁতার কাটা, ব্যায়াম করা, সাইকেল চালানো, দড়ি লাফানো, খেলাধুলা করা।
সর্বোপরী, আমাদের সাবধান থাকতে হবে যেন ডায়াবেটিস নামক রোগ থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি। কিন্তু তাও যদি কোনো কারণে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে দুশ্চিন্তা না করে ভালো একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাদ্য ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস যেন কন্ট্রোলে থাকে সেই বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।