গর্ভাবস্থায় মায়েদের বিভিন্ন ধরনের চিন্তা কাজ করে। এসময় যেহেতু শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে, হরমোনাল চেঞ্জ হয় সেক্ষেত্রে নিত্যনতুন নানা সমস্যার ও আবির্ভাব ঘটে। অনেক গর্ভবতী মা একটি সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন সেটি হলো তার গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ছে না। আপনি ও যদি আপনার গর্ভের শিশুর ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্ট আপনার জন্যই।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন না বাড়ার কারণসমূহ
জন্মের সময় যদি একটি নবজাতকের ওজন ২.৫ কেজি বা তার থেকে কম হয় তাহলে তাকে কম ওজনবিশিষ্ট বাচ্চা বলে। তাছাড়া কম ওজনের নবজাতক বিভিন্ন শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে থাকে। এক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। তবে এর আগে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ এর কারণ গুলো খুজে বের করা যায় তাহলে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে।
১. গর্ভাবস্থায় মায়েদের পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি হাই রিচ, হাই প্রোটিন ডায়েট মেইনটেইন করার প্রয়োজন হয়। যেসব খাবারে অনেক বেশি ক্যালরি রয়েছে সেসব খাবার গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু অনেকেই সেসময় খেতে পারেন না সঠিক ভাবে। সেসময় প্রয়োজন এর কম পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করার ফলেই গর্ভের বাচ্চার ওজন সহজে বৃদ্ধি পায় না। এমনকি কখনো কখনো মায়ের ওজন ও বাড়েনা।
২. এমন অনেক নারীরা আছেন যারা আগে থেকে আন্ডারওয়েট থাকেন। তারা যে সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি ফেইস করতে হয় যে তাদের ওজন অতিরিক্ত কম এবং তারা কম পরিমাণে খেয়ে অভ্যস্ত। তাই হঠাৎ গর্ভবতী হলে তাদের পক্ষে প্রয়োজন মাফিক খাবার গ্রহণ করাটা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে শুরুর দিকে তাদের বাচ্চার ওজন অনেক কম থাকে। ধীরে ধীরে ক্ষুধা বাড়তে থাকলে খাবারের পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও সেটি অনেক সময় নষ্ট করে ফেলে এবং প্রতি সপ্তাহে বাচ্চার সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।
৩. গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস মর্নিং সিকনেস, বমি ভাব বা ক্লান্তিভাব অনেক বেশি থাকে। খাবারে অরুচিবোধ হয়। অনেকেরই যে সমস্যা টা থাকে যে, খাবারটা গ্রহণ করছেন আর কিছুক্ষণ এর মধ্যেই তা বমি হয়ে যাচ্ছে। আপনার যদি এরকম কোন অবস্থা থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ আপনি যদি প্রতিটা খাবার বমি করে ফেলে দিচ্ছেন, বা হজম হওয়া পর্যন্ত কোনো ভাবেই সেটি আপনার পাকস্থলীতে থাকছেনা তাহলে আপনার বাচ্চা অপুষ্টিতে ভুগবে। তার ওজন বাড়বে না। এ কারণেই শুরু থেকেই এসব বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
৪. খাওয়া দাওয়া বিশ্রামে অনিয়ম এবং দুঃচিন্তার কারণে ও বাচ্চার ওজনগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে সেজন্য মাসিক চেক আপ এ মা এবং গর্ভের বাচ্চার ওজন ঠিক আছে কিনা তা সবসময় পরিক্ষা করেন ডাক্তাররা।
৫. গর্ভাবস্থায় অনেকেই ফলিক এসিড, ভিটামিনস, ক্যালসিয়াম, আয়রন জাতীয় মেডিসিন গ্রহণ করেন না, তাদের বাচ্চার ওজন নিয়েও কিছু জটিলতা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট ওবং ওজন বৃদ্ধি, গর্ভাবস্থায় নিম্ন রক্তচাপ, কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিরোধের উপায়, গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা, মাস অনুযায়ী ডায়েট প্ল্যান
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির উপায়
যেহেতু গর্ভাবস্থায় মায়েদের অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করতে হয় সেহেতু শুরু থেকেই যদি মায়েরা একটি চার্ট বানিয়ে তা মেইনটেইন করেন তাহলে আর তেমন সমস্যা হওয়ার কথা না।তারপর ও যদি কারো বাচ্চার প্রয়োজন অনুসারে ওজন না বেড়ে থাকে সেক্ষেত্রে নিচের দেখানো খাবার গুলো গ্রহণে উপকার হতে পারে।পাশাপাশি অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ ও মেনে চলতে হবে।
আজকে আমরা এরকম কিছু খাবারের তালিকা তুলে ধরবো যা খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। গর্ভবতী মা তার গর্ভের আকার দেখে অনুমান করার চেষ্টা করে গর্ভের বাচ্চা বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা। আসলে ব্যাপারটা এমন নয়। অনেকের পেটের আকার ছোট বা বড় হতে পারে। এটি নির্ভর করে মায়ের শারীরিক গঠনের উপর।
মায়ের পেটের আকার বড় হলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে ধরা যাবে না। গর্ভবতী মায়েদের নিয়মিত চেকআপ করতে হবে, এমন কি করে জানতে হবে গর্ভের বাচ্চা মাস অনুযায়ী কতটা বেড়ে উঠেছেন।
বাচ্চার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক এমন কিছু খাবারের তালিকা
১. দুধ
খাদ্যের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নিয়মিত দুধ পান করা।আমরা সবাই জানি প্রতিদিন দুধ পানে আপনার গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়বে। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম। একজন গর্ভবতী মায়ের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার হয়। তাই গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই বাচ্চার হাড়ের গঠন এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য দুধ খাওয়া প্রয়োজন।
দুধে উপস্থিত এই ক্যালসিয়াম বাচ্চার হাড় গঠনে সাহায্য করে। দৈনিক ২৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম দুধ পান করা উচিত। অনেক গর্ভবতী মায়েরা দুধ পান করতে পারেন না। তাদের হয়তো বমি ভাব হয়ে থাকে। আবার অনেকেরই দুধে অ্যালার্জি থাকতে পারে। তারা দুধের পরিবর্তে এর তৈরি খাবার গ্রহণ করতে পারেন। যদি এটাতেও সমস্যা হয় তাহলে ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী Supplement গ্রহণ করতে হবে।
২. দই
নিয়মিত দুধের পাশাপাশি দই খেতে পারেন। অকালে সন্তান প্রসব, কম ওজন বিশিষ্ট সন্তান জন্মদান এমনকি শারীরিক নানা জটিলতা ঠেকাতে সাহায্য করে দই বা দুধের তৈরি নানা খাবার।কিন্তু দই খাওয়ার সময় মিষ্টি দই বেশি না খেয়ে টক দই খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। এটি বাচ্চার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
৩. বাদাম
আমরা জানি বিভিন্ন ধরনের বাদামে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুণ রয়েছে। তাই গর্ভাবস্থায় বাদাম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার।নিয়মিত বাদাম খেলে বাচ্চার দেহের উপকারী ফ্যাট ও প্রোটিন জমা হয়। আর এতে করে বাচ্চার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।বিভিন্ন প্রকার বাদামে আছে জিংক, কপার, আয়রন, ফলিক এসিড। তাই দৈনিক এক মুঠো করে যেকোন ধরনের বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।চাইলে সব ধরনের বাদাম গুড়ো করে খেতে পারেন।নিয়মিত খাবার গ্রহণ এর মাঝামাঝি সময়ে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
কাঠ বাদাম,কাজু বাদামে ভরপুর মাত্রায় রয়েছে ক্যালসিয়াম,প্রোটিন এবং বেশ কিছু খনিজ উপাদান,যা বাচ্চার বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।কাঠ বাদাম খাওয়ার সময় চেষ্টা করবেন উপরের খোসা ছাড়িয়ে খেতে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও সঠিক নিয়ম, গর্ভাবস্থায় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা, মাস অনুযায়ী ডায়েট প্ল্যান
৪. মাংস
মাংস প্রোটিনের চাহিদা অনেক বেশি পূরণ করতে সক্ষম।মুরগির মাংস প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস। গর্ভস্থ বাচ্চার ওজন বৃদ্ধিতে মুরগির মাংসের বিকল্প নেই। যেখানে অন্যান্য মাংসের কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, সেখানে মুরগির গোশত সম্পূর্ণ নিরাপদ। মুরগির মাংস খেলে বাচ্চার মাংসপেশী এবং কোষের বৃদ্ধি ঘটে যার ফলে ওজন খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। তাই সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন মুরগির গোস্ত খাওয়ার চেষ্টা করুন।এছাড়াও গরুর বা খাসির গোশত এ যদি আপনার এলার্জি না থাকে তাহলে খেতে পারেন এগুলো ও বাচ্চার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. ডিম
গর্ভের বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি করে এমন খাদ্য তালিকায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি আইটেম হলো ডিম।এটি হলো ভিটামিন এবং প্রোটিনের ভান্ডার।এটি একটি গর্ভস্থ শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এতে রয়েছে আয়রন এবং ফলিক এসিড এর মতো পুষ্টি গুন। প্রতিদিন একটি বা দুটি সেদ্ধ ডিম খেলে তা বাচ্চাকে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি ও কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ রোধে সাহায্যকারী হতে পারে। মুরগির ডিমের পাশাপাশি আপনারা চাইলে কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারেন।এটিও উচ্চ পুষ্টিগুণসম্পন্ন যা বাচ্চার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. মিষ্টি আলু
গর্ভের বাচ্চার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে মিষ্টি আলু।আমরা যে সাধারণ আলু খাই সেসব এ শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।তাই এসময় আপনি চাইলে মিষ্টি আলু খেতে পারেন।মাটির নিচের এই আলুতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুন।
এই আলুতে রয়েছে ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন B6, বিটা ক্যারেটিন, যা একটি প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি গর্ভের বাচ্চার ত্বক, হাড়, চোখের গঠনে ভূমিকা পালন করে।তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন সিদ্ধ করে মিষ্টি আলু খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
৭. মসুর ডাল ও মটরশুঁটি
গর্ভের বাচ্চার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে মসুর ডাল ও মমটরশুঁটি। এতে রয়েছে আয়রন এবং প্রোটিন। নিয়মিত মসুর ডাল খেলে পর্যাপ্ত ফাইবার এবং ক্যালসিয়াম,আয়রন পাওয়া সম্ভব। কেউ যদি শাকাহারী হয়ে থাকে তারা মাংস ডিম এর পরিবর্তে মটরশুঁটি খেতে পারেন।এবং প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এক বাটি ডাল অন্তর্ভুক্ত অবশ্যই করবেন।
৮. কমলা
ফলের মধ্যে কমলার রস গর্ভের বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।পারলে এক গ্লাস কমলার রস দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন। এটি আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে এবং দেহে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং আয়রন এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করবে।
গর্ভাবস্থায় ফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি গর্ভের বাচ্চার যেকোনো ধরনের জন্মগত ত্রুটি সারিয়ে তুলতে, এমনকি শিশুকে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বাজারের কমলার জুস না খেয়ে বাসার তৈরি কমলার জুস খেতে পারেন।
৯. ঢেড়স
গর্ভাবস্থায় সবুজ শাক সবজির উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের সাধারন মানুষদের জন্য সবুজ শাকসবজি যেমন অনেক বেশি প্রয়োজনীয় তেমনি গর্ভবস্থায় এসব শাকসবজি গ্রহণ এর মাত্রা দ্বিগুন করে দিতে হয়। গর্ভবতী মায়ের কোষ্ঠ কাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সবুজ শাক সবজির জুড়ি নেই।এর মধ্যে ঢেড়স হলো এমন একটি সবজি যা খেলে বাচ্চার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সঠিক পুষ্টি গুণ পেলেই গর্ভের বাচ্চা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কোন না কোন শাক বা সবজি রাখার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ঢেড়স বা ভেন্ডি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
১০. পানি
গর্ভাবস্থায় পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন গর্ভবতী হিসেবে শারীরিকভাবে একটি মা নানা অসুস্থতায় ভুগেন। এর মাঝে যদি শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায় তাহলে অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে। তাই গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। বিশেষ করে কমপক্ষে ৮ গ্লাস বা ৪ লিটার পানি পান করা জরুরি।নিয়মিত পানি সেবনে গর্ভের বাচ্চার বিকাশ খুব দ্রুত লাভ করে।
১১. ছোলা
তাছাড়া গর্ভের বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি করতে আপনি খেতে পারেন নিয়মিত ছোলা খেতে পারেন। এটি আয়রন এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ। এটি রক্তস্বল্পতা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করেন। ছোলা খেলে যে ওজন বৃদ্ধি পায় তা আমরা সবাই জানি। আপনি চাইলে ছোলা সিদ্ধ করে ভেজে খেতে পারেন অথবা রাতে ৭-৮ টি ঝোলা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেগুলো নরম হয়ে গেলে তা কাচা খেতে পারেন। কারো যদি এতে অসুবিধা মনেহয় তাহলে একবার ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে নিবেন।
১২. নুডুলস
গর্ভাবস্থায় প্রসেসড ফুড বা বাহিরের খাবার না খাওয়াই অনেক বেশি ভালো। তারপরও কারো যদি একান্তই খুব ইচ্ছে করে থাকে তাহলে সে সপ্তাহে এক থেকে দুই তিন নুডুলস খেতে পারেন। কিছু সবজি এবং মাংস মিক্স করে নিলে এর পুষ্টিগুন আরো কিছু পরিমাণে বেড়ে যায়। এবং এই খাবার টি গর্ভের শিশুর ওজন দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
গর্ভাবস্থায় অনেকেই ভাবেন যে আমার ওজন বাড়তেছে না এর মানে হয়তো আমার বাচ্চার ওজন বাড়ছেনা।কিন্তু হয়তো এমন ও হতে পারে আপনার ওজন ধীরে ধীরে বাড়ছে বলে আপনি বুজতে পারছেন না।এমনকি এটি আপনার শারীরিক গঠনের কারণেও হয়তো তেমন বুঝা যাচ্ছেনা। কিন্তু তারপরও যদি আপনি দেখেন যে,আপনার ওজন একদমই বাড়ছে না সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার বাচ্চার ওজন টা আগে মনিটরিংয়ে রাখবেন কারণ গর্ভাবস্থা মানেই মুটিয়ে যাওয়া না আপনি সুস্থ থেকে আপনার বাচ্চা ওজন ধীরে ধীরে বাড়লেই তা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।
আরো পড়ুনঃ