ব্রণ দূর করার উপায়ঃ ঘরোয়া পদ্ধতি

আপনার হাতের কাছের উপাদান ব্যবহার করে ব্রণ দূর করার উপায় খুজছেন? তাহলে এই দ্রুত এবং সহজ পদ্ধতিগুলো আমরা এক্সপেরিমেন্ট করে আপনার জন্য নিয়ে এসেছি।

চেহারা সুন্দর দেখাক কে না চায়? তবে আপনার সুন্দর মুখায়বের কপাল, গাল ও নাকের ওপর একটি ব্রণ আপনাকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিতে পারে।

যখন ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম নিঃসৃত হয়, তখন ত্বক তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। এই সিবাম ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দিতে পারে, যা সংক্রমিত হয়ে গেলে ব্রণ দেখা দেয়। এ সময় যদি সঠিকভাবে যত্ন না নেয়া হয়, তবে ব্রণগুলো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং ত্বকে কালো ও স্থায়ী দাগ তৈরি হতে পারে।

চেহারা সুন্দর দেখাক কে না চায়? তবে আপনার সুন্দর মুখায়বের কপাল, গাল ও নাকের ওপর একটি ব্রণ আপনাকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিতে পারে।যখন ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম নিঃসৃত হয়, তখন ত্বক তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। এই সিবাম ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দিতে পারে, যা সংক্রমিত হয়ে গেলে ব্রণ দেখা দেয়। এ সময় যদি সঠিকভাবে যত্ন না নেয়া হয়, তবে ব্রণগুলো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং ত্বকে কালো ও স্থায়ী দাগ তৈরি হতে পারে।

ব্রণ দূর করার উপায়

*শসাঃ শসার কেবল খাদ্যগুণই নয়, রূপচর্চায়ও নানা গুণ রয়েছে। তার মধ্যে একটা অবশ্যই ত্বকের ব্রণ দূর করা। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এর প্রতিটিই ত্বকের জন্য মারাত্মক ভালো। শসা থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।

২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন মুখ। এছাড়াও শসাকে অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারেন। শসা গোল গোল করে কেটে অন্তত একঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি খেয়েও নিতে পারেন, বা ওই পানি দিয়ে মুখও ধুয়ে নিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য সেরা ১০টি ফল

See also  Surprising Ways To Care For Thin And Fine Hair

*টুথপেস্টঃ ফেসপ্যাকের মতো করে ব্যবহার করতে পারেন টুথপেস্ট। মুখের অতিরিক্ত তেল টেনে নেওয়ায়র ক্ষমতা আছে এই পেস্টের। ফলে তৈলাক্ত ত্বকের কারণে যাদের মুখে ব্রণ বা গোটা বের হয়, তারা টুথপেস্ট ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন। তবে বেশি নয়, খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন ব্রণের জায়গায়। সমস্যা না হলে পরিমাণ বাড়ান।

*গ্রিন টিঃ গ্রিন টি গোটা বা ব্রণের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী। গরম পানি গ্রিন টি বানান। তারপর সেই গ্রিন টি একদম ঠাণ্ডা করে ব্রণ বা গোটার জায়গায় ব্যবহার করুন। তুলায় ভিজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভালো করে ত্বকের ওপর মিশতে পারবে চায়ের মিশ্রণটি। যদি টি ব্যাগ থেকে গ্রিন টি বানান, তাহলে ঠাণ্ডা গ্রিন টি ব্যাগটিও রাখতে পারেন ত্বকের ওপর। ২০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে নিন।

*অ্যাসপিরিনঃ খাওয়ার ওষুধ হিসেবেই নয়, ব্রণ বা গোটা সারাতেও এই ওষুধের জুড়ি নেই। এতে থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে দেয়। চার-পাঁচটা ট্যাবলেট প্রথমে গুঁড়িয়ে নিন। তারপর সেগুলো অল্প পানির সঙ্গে মেশান। এমনভাবে মেশাবেন, যাতে একটা পেস্ট তৈরি হয়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে পেস্ট আক্রান্ত জায়গায় লাগান। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে, কয়েক মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিতে পারেন।

*রসুনঃ রসুন ব্রণের বড় শত্রু। এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। এক-দুই কোয়া রসুন দুই টুকরা করে কেটে নিন। তারপর ব্রণের জায়গায় রসটা লাগান। মিনট পাঁচেক পরে ধুয়ে ফেলুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে এটা করলে পরদিন সকালে ত্বকের উন্নতি টের পাবেন।

*লেবুর রসঃ তুলায় করে লেবুর রস ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে নিতে পারেন। লেবুর রসের সঙ্গে দারুচিনির মিশ্রণ তৈরি করে, রাতে শুতে যাওয়ার আগে সেটা ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে হালকা উষ্ণ পানিতে ধুয়ে নেবেন।

See also  আরগান তেল: ত্বকের সমস্যাগুলোর জন্য গোপন অস্ত্র

*সরিষা : সরিষাতে প্রচুর পরিমাণে স্যালিসিলিক এসিড রয়েছে, যা খুব সহজেই ব্রণের জীবাণুকে ধ্বংস করে। সামান্য সরিষা গুঁড়ার সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরী করে মুখে লাগান।১৫মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন তা ব্রণ দূর করার পাশাপাশি দাগ ও দূর করতে সাহায্য করে। 

*বরফঃ ব্রণ সমস্যা কমাতে বরফ খুব ভালো কাজ করে। বরফ সংক্রমণ দূর করে এবং লালচেভাব কমায়।

*আপেল সিডার ভিনিগারঃ এতে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ব্রণ কমায়। একভাগ ভিনেগার সাথে দুভাগ পানি মিশিয়ে তা ব্রণ আক্রান্ত স্থানে টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন। 

★ ব্রণ সারাতে যেকোনো ওষুধ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী দুই-তিন মাস পর্যন্ত ওষুধ সেবন করতে হতে পারে। পাশাপাশি ক্রিম, জেল বা লোশন ব্যবহার করা যায়। সন্ধ্যার বা রাতে ব্যবহার করার জন্য আলাদা কিছু ক্রিম পাওয়া যায়। এসব ক্রিম অতিমাত্রায় ব্যবহার করার কারণে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ

4.2/5 - (19 Reviews)
foodrfitness
foodrfitness
Articles: 234