মধু হলো এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা চার হাজার বছর ধরে মানুষের শরীর বৃত্তীয় এবং শারীরিক সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ঔষধি উপাদান। প্রাচীনকালে নানা রোগব্যাধি সারাতে মধু ব্যবহার করা হতো। এবং একটি প্রচলিত ধারণা ছিলো যে, যারা নিয়মিত মধুপান করে তারা দীর্ঘ জীবন লাভ করেন। খাবার হিসেবেও এই মধুর কোনো জুড়ি নেই। বিভিন্ন মিষ্টান্নতে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করা হয়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এ উপাদানটি শরীরের অনেক উপকারে আসে। আজকে আমরা জানবো মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময়, মধুর কিছু উপকারিতা এবং অধিক ব্যবহারের কারণে এর কিছু অপকারিতা সম্পর্কে।
মধু খাওয়ার উপকারিতা
মধুতে রয়েছে ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ, মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাস প্রপার্টিস। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও কাজ করে। এসব ঔষধি গুনাগুন এর জন্য মধু নানা রোগব্যাধি সাড়াতে এমনকি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও নানা ভাবে ব্যাবহার হয়ে আসছে।
১. মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
মধুতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলস, ভিটামিন, মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিস, এনজাইম থাকে যা শরীরের ভিতরে যেয়ে কাজ করে একটি অ্যান্টি বডি তৈরি করে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়।
২. মধু সর্দি, কফ, কাশি কমাতে সাহায্য করে
শীতের কনকনে ঠান্ডায় অনেকেরই কফ, কাশি, সর্দির মতো ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা দেয়। সে সময় প্রতিদিন মধু খেলে খুসখুসে কাশি এবং কফ এর হাত থেকে বাঁচা যায়। এছাড়াও অনেকের সারা বছরই ঠান্ডার সমস্যা লেগেই থাকে। তাদের জন্য ও মধু অনেক উপকারী। এই খাবার শরীরের তাপ উৎপাদন এর তীব্রতা বাড়ায়। চা-কফি ও গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে হাঁচি, কাশি জ্বর জ্বর ভাব, টনসিল, নাক দিয়ে পানি পড়া, জিহ্বার ঘা, ঠান্ডাজনিত যেকোনো সমস্যা ভালো হয়।
৩. মধু পোড়া ও ক্ষত সারাতে সাহায্য করে
মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাস সহ আরো অনেক উপাদান। আমাদের শরীরের কোন জায়গা যদি আগুনে পুড়ে যায় বা কেটে যায় তা ভালো হতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিস কাজ করে থাকে।
৪. মধু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
নিয়মিত মধু খেলে ক্যান্সার এর ঝুঁকি অনেক কমে যায়। যাদের পরিবারে ক্যান্সার এর ইতিহাস রয়েছে, তাদের সঠিক নিয়ম মেনে মধু খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। মধু স্তন, পাকস্থলী, ফুসফুস এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়। কিন্তু ইতোমধ্যে যাদের ক্যান্সার হয়ে গেছে তারা মধু খেলে কতটা উপকার লাভ করবে, তা ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে জেনে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ক্যান্সারের চিকিৎসা, সার্ভিকাল ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসা, ধূমপান এবং ফুসফুসের ক্যান্সার, মলদ্বারে ক্যান্সারের লক্ষণ
৫. মধু ওজন কমাতে সাহায্য করে
আমাদের এই যুগের লাইফস্টাইলে বাহিরের খাবার খাওয়ার যে প্রবণতা রয়েছে, সেসব খাবারের জন্য কমবেশি সবার পেটে এবং শরীরের নানা জায়গায় মেদ জমতে শুরু করে দেয় অল্প বয়সেই।মধু নিয়মিত খেলে শরীরের যে বাড়তি ওজন বা মেদ জমে থাকে তা কমতে শুরু করে।
অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম পানিতে লেবু এবং মধু মিশিয়ে খান। এই পানীয়টি শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে অনেকটা সাহায্য করে। কিন্তু মধু কখনোই ৪২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এর বেশি তাপমাত্রায় থাকলে পান করবেন না। কিছুটা ঠান্ডা হয়ে গেলে এরপর পান করবেন। এই পানীয় পান করার পূর্বে ঘুম থেকে উঠেই ১ গ্লাস পরিমান হালকা কুসুম গরম পানি পান করে নিবেন।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে দই ও তিসি বীজ এইভাবে খান, 15 দিনে ওজন কমানোর ডায়েট প্ল্যান, ভাজা তেঁতুল বীজের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
৬. মধু শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
মধু নিয়মিত খেলে শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয় এবং ভালো কোলেস্টেরল এর উৎপাদন হয়। এতে করে আপনার ব্লাড সুগার এবং ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৭. মধু হজমে সহায়তা করে
অনেকেই নিয়মিত খাবার গ্রহণ করেন ঠিকই কিন্তু খাবার হজম করতে পারেন না। তাদের জন্য মধু অনেকটাই আশীর্বাদস্বরূপ হতে পারে। প্রতিদিন খাওয়ার আগে এক চামচ করে মধু খান। এরপর ১০ মিনিটের বিরতি দিয়ে আপনার নিয়মিত খাবার গ্রহণ করুন এতে করে আপনার হজমের সমস্যা অনেকটাই দূর হওয়া সম্ভব।
৮. মধু ত্বক উজ্জল করতে সহায়তা করে
মধুতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাস উপাদান যা আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি। নিয়মিত মধু দিয়ে রূপচর্চা করলে ত্বকে ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও এটি ত্বককে কোমল করে এবং ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে।
আরো পড়ুনঃ মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় 15 টি ঘরোয়া প্রতিকার, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
৯. শিশুদের জন্য মধুর উপকারিতা
৬ মাস থেকে শিশুদের নিয়মিত মধু খাওয়ানোর অভ্যাস করলে তাদের শরীরে একটি এন্টিবডি তৈরি হয় যা পরবর্তীতে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এসময় তাদের ৩-৪ ফোঁটা করে খাওয়ানো উচিত। এর বেশি নয়।
নিয়মিত মধু খাওয়ালে শিশুর পুরো দেহের বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ অনেক ভালো হয়। এখন যদি আপনি নিয়ম করে মধু খাওয়াতে চান তাহলে শুধুমাত্র শীতকালেই তা করতে পারেন অথবা ঠান্ডার সময় মধু খাওয়াতে পারবেন। যেহেতু মধু শরীরে তাপ উৎপাদন করতে পাড়ে তাই গরমের সময় শিশুদের মধু খাওয়ানো ঠিক না। এতে করে শিশুর পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১০. হাড়ের গঠনে মধুর ভূমিকা
মধুতে রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাতের গঠনে সাহায্য করে। চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে নখ উজ্জ্বল করে তোলে এবং নখের ভঙ্গুরতা কমায়।
১১. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মধুর ব্যবহার
আমরা জানি চিনিতে রয়েছে গ্লুকোজ যা ডায়বেটিস রোগীদের একদমই খাওয়া নিষেধ। অন্যদিকে মধুতে রয়েছে ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ যা ডায়াবেটিস রোগীরা চাইলে খেতে পারেন। তাই বিভিন্ন মিষ্টান্ন তে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনাকে শতভাগ ভালো মধু ব্যবহার করতে হবে। যেসব মধুতে ভেজাল রয়েছে অথবা চিনি মিশ্রিত থাকে সেসব মধু খেলে আপনার ডায়াবেটিস এবং ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা – সেরা ডায়েট প্ল্যান
১২. অন্যান্য রোগ নিরাময় মধুর ভূমিকা
মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা ডায়রিয়া, রক্তশূন্যতার মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
মধু WBC, RBC এবং প্লাটিলেট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
রাতের বেলা এক চামচ মধু খেয়ে ঘুমাতে পারেন। অথবা দুধের সঙ্গে মিশিয়েও পান করে ঘুমাতে পারেন। এতে করে আপনার রাতের ঘুমও খুব ভালো হবে।
মধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
মধু গ্যাস এসিডিটি ও বদহজম কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু গ্যাস এসিডিটি বা টক ঢেকুর বেশি থাকলে তখন কখনোই লেবুর সাথে মধু মিশিয়ে খাবেন না। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়
যাঁদের পেপটিক আলসারের সমস্যা রয়েছে তারা যদি রাতে ঘুমানোর আগে বা সকালে এক চামচ করে মধু খান তাহলে দেখবেন যে খুব দ্রুত এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
মধু খেলে শ্বাসতন্ত্রের নানা সমস্যা সমাধান হয়।ফুসফুসের ইনফেকশন থাকলে তা দূর হয়।
মধু খেলে শরীরের টক্সিন দূর হয়।সাথে রক্ত ও পরিষ্কার হয়।
মধু তারুণ্য বজায় রাখে এবং যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
পানিশূন্যতা দূর করে। দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয়।
মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও সময়
১. সুস্থ থাকার জন্য আমরা অনেকেই গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকি। অনেকেই রং চা বা লাল চায়ের সঙ্গে বা মশলা চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাচ্ছেন। গরম পানিতে মধু মেশানো সময় অবশ্যই আমাদের এর তাপমাত্রা খেয়াল রাখতে হবে তাপ ও তাপমাত্রার সাথে মধুর মেশালে তা বিক্রিয়া করে পদার্থে পরিণত হয় তাই গরম কিছুতে মধু মেশানো সময় অবশ্যই তা কুসুম গরম আছে কিনা খেয়াল করে নেবেন এবং তাপমাত্রা যেন কোনভাবেই ৪২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ওপর না হয়।
২. কেউ যদি অনেকদিন ধরে প্লাস্টিকের বোতলে মধু সংরক্ষণ করে থাকেন পরবর্তীতে তা খাবেন সেই হিসেব করে তাহলে এখনই এই মধু ফেলে দিন। কারণ প্লাস্টিকের কৌটার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে এটি ইতোমধ্যেই বিষাক্ত হয়ে গেছে। তাই মধু অবশ্যই আপনাকে কাচের কৌটায় সংরক্ষণ করতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান বাজারজাতকরণের সময় প্লাস্টিকের জার ব্যবহার করছেন তারা মারাত্মক ভুল করছেন। তাই মধু খাওয়ার আগে বা কেনার আগে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
৩. মধু গরম করে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। গরম করলে এটি একটি টক্সিক উপাদান এ পরিনত হয়। অনেকেই বিভিন্ন মিষ্টান্ন বা খাবারে মিষ্টি উপাদান বা চিনির পরিবর্তে মধু মিশিয়ে খান আবার দ্বিতীয়বার সেই খাবার গরম করছেন। অনেকেই খাবার রান্না করতে করতেই এতে মধু মিশিয়ে দিয়ে থাকেন। এমনকি অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা মধু জ্বাল করে বিক্রি করে থাকেন।এই প্রতিটি প্রক্রিয়াই একটি মারাত্মক ভুল। এই ভুল গুলোর মাধ্যমে আপনি নিজেও বুঝতে পারছেন না যে আপনি কতো মানুষ এর অসুস্থতার কারণ হতে যাচ্ছেন। তাই মধু কখনোই গরম করে খাবেন না।
৪. মধু ফ্রিজে না রেখে রুম টেম্পারেচার এ রেখে ব্যবহার করবেন।
৫. মধু দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে এটি হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না। একটি কাচের পাত্রে রেখে শুকনো চামচ দিয়ে নিয়ে তারপর খাবেন।
কি পরিমাণে খাবেন?
একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির মধু খাওয়ার আগে তার বয়স ওজন উচ্চতা বিবেচনা করে তবেই খাবেন। মধু দিনে দুবেলা খাওয়া যেতে পারে। সকালে বা রাতে। আপনি যদি সকালে মধু খান তাহলে হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
যদি আপনার ওজন অতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে সেই গরম পানির সাথে লেবুর রস যুক্ত করে নিতে পারেন। আর যদি আপনার ওজন হালকা হয়ে থাকে তাহলে আপনি কোন ধরনের লেবু না মিশিয়ে শুধুমাত্র মধু মিশিয়ে গরম পানি পান করুন। তবে খেয়াল রাখবেন খালি পেটে এই পানীয় পান করবেন না। এর আগে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে হালকা গরম পানি পান করে নিতে হবে। তারপর মধু আর লেবু পানি খাবেন।
দিনে যখন তখন মধু খেলে এসিডিটি বা গ্যাস এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সকালে বা রাতেই মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন।
মধু খাওয়ার কিছু অপকারিতা
মধু খাওয়ার তেমন কোনো অপকারিতা না থাকলে ও আমাদের স্বভাব গত কারনেই কিছু অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় মধু খেয়ে। যেমন অনেকে দিনের যেকোনো সময় মধু খেয়ে নিচ্ছেন আর গ্যাস বা এসিডিটির সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
তেমনি যেই মূহুর্তে আপনার প্রচন্ড টক ঢেকুর বা গ্যাস এর সমস্যা হচ্ছে তখন আপনি হঠাত মধু আর গরম পানি খেয়ে নিলেন। এতে করে সমস্যা আরো বেড়ে গেলো।
অনেকেই ভেজাল না খাটি পরীক্ষা না করেই মধু কিনে খাচ্ছেন। এতে ৪০% এর উপর থাকছে চিনি।যা আপনার ওজন কমানোর পরিবর্তে বাড়িয়ে তুলছে। সাথে ডায়বেটিস আর ব্লাড প্রেশার ও বাড়াচ্ছে।
অনেকেই মধু বছরের পর বছর প্লাস্টিকের বোতলে রেখে মধু সংরক্ষণ করছেন। যা পরবর্তীতে সেবনে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
তাই মধু সেবনের পূর্বে আপনার বয়স, কোন সময় মধু খাচ্ছেন সেসব বুঝে, আপনার সামগ্রিক শরীরের অবস্থা বুঝেই সঠিক পরিমাণে মধু সেবন করুন। তাহলে দেখবেন এর অপকারিতা একদমই নেই। উলটো আপনার শারীরিক নানা উন্নতি সাধন হচ্ছে।